৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নতুন সড়ক পেয়ে উচ্ছ্বসিত মহেশখালীর বাসিন্দারা

এ.এম হোবাইব সজীব,মহেশখালী :

আমাদের অনেক দিনের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী দক্ষিন রাজঘাট বিলপাড়া-ফুলজানমুরা বাইপাস সড়কটির নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে হতে যাওয়ায় এখন উক্ত সড়কে গাড়ী চলবে নির্বিঘ্নে। অ-সম্পূন্ন কাজ সম্পন্ন হলে সড়কটি খুলে দিবে।

সড়কটি অতি শীঘ্রই খুলে দিলে আমরা এখন গাড়ী করে সরাসরি উপজেলা সদরসহ শহরে যেতে পারব। আর দ্বৈত দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। স্থানিয় বাসিন্দা মাস্টার ওসমানের কথায় ঝরে পড়ে উচ্ছ্বাস। রাজঘাট বিল পাড়া-ফুলজান মোরা হয়ে মগডেইল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকা পর্যন্ত বাইপাস সড়কটি হতে যাওয়ায় তাঁর মতো আরও অনেক মানুষের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সড়কটি পেতে যাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সড়কটি নিমার্ণের ফলে মাতারবাড়ীসহ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পে যাতায়াতরত লোকজন সুবিধা পাবেন।

স্থানীয় লোকজন এবং ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানাযায়,
সম্প্রতি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলে সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে আবার নির্মাণ কাজ ফের শুরু হয়েছে। নিমার্ণ কাজ শেষ হলে চলতি মাসে শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে সড়কটি।

মগডেইল এলাকার আবু ছালেহ বলেন, সড়কটি নির্মিত হওয়ায় পণ্য পরিবহনে আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা। যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। মাতারবাড়ীর লোকজনকে আর দুর্ভোগ পোহাতে হবেনা। তবে সড়কটির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি দৃষ্টি নন্দন সড়কটিতে টেকসই ও মজবুতের জন্য ইট ও গাইডেওয়াল নিমার্ণ।

অপরদিকে উপজেলার মাতারবাড়ীতে বাইপাস সড়ক ও গ্রাম রক্ষাবাধঁ নির্মাণ হচ্ছে মর্মে সংবাদটি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোস্যল মিড়িয়া ফেসবুকে প্রচার হয়ে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নজরে আসে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামিরুল ইসলামের।

তিনি এক সাক্ষাৎকারে মাতারবাড়ী রাজঘাট বিলপাড়া-ফুলজান মুরা দৃষ্টিনন্দন ভাইপাস সড়কটি খুব শিঘ্রই পরির্দশনে যাবেন বলে অভিমত বক্ত করেছেন। তিনি আরও বলেন অন্যন্যা ইউনিয়নের তুলনায় মাতারবাড়ীতে সরকারী বরাদ্দের কাজের গুণ গতমান খুবই ভাল হয়। তার মতো সড়কটি খুলে দিলে মাতারবাড়ীর আমূল্য পরিবর্তন হবে।

জানাগেছে, উপজেলার মাতারবাড়ীতে দেশের বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প হওয়া মাতারবাড়ীর প্রধান সড়কটি ২৪ ঘন্টা ব্যস্ত সড়কে পরিনত হয়েছে। এছাড়াও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের ফলে স্লুইস গেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাতারবাড়ীর বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মালিক পক্ষ থেকে জমি ইজারা দিয়ে খাল খনন ও পাইপ লাইন বসিয়ে গত বছর মতারবাড়ীকে জলবদ্ধতা থেকে রক্ষা করে।

এর ধারাবাহিকতায় বেশকিছু দিন থেকে ইউনিয়নের রাজঘাট বিলপাড়া- ফুলজান মুরা হয়ে দক্ষিন মগডেইলের পাশ দিয়ে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সড়কের সাথে সংযোগ সড়ক হয়ে বাই পাস সড়ক ও গ্রাম রক্ষা বাধঁ নিমার্ন প্রায় শেষ পর্ষায়ে। উক্ত সড়কটি নিমার্ণের ফলে ৩,৬,৭,৮ নং ওয়ার্ড ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাতায়েতকারীদের সময় সাশ্রয় ও প্রধান সড়কের চাপ কমে যাবে। ফলে উক্ত সড়কের যানঝড় কমে যাবে যাবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দীন জানান, উক্ত সড়কটি নির্মার্ণের ফলে পুরাতন বাজার থেকে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র পর্ষন্ত যানঝড় থাকবে। আর যাতায়েত সুবিধাসহ জোয়ারের পানি থেকে গ্রাম রক্ষা হবে। মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ৪ কিলোমিটার লম্বা বাইপাস সড়ক ও গ্রাম রক্ষা বাধঁটি নির্মানের ফলে মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সড়কটি নির্মাণের ফলে যাতায়েত সহজসহ ৪টি ওয়ার্ডের মানুষ কম সময়ে গাড়ী নিয়ে চলাচল করতে পারবে।

সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য সড়কের দু পাশে গাছ বনায়নও করা হয়েছে। তবে সড়কে ইট ও গাইডেওয়াল নিমার্ণের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হবে।